Header

সানি লিওনের জীবনী


করেনজিত কউর ভোহরা (জন্ম ১৩ মে, ১৯৮১) সানি লিওন নামে পরিচিত, একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এবং আমেরিকান নারী-ব্যবসায়ী, মডেল এবং প্রাক্তন পর্ণোতারকা।
সানি লিওন নামটি শুনলেই নীল জগতের ভাবনা মাথায় চলে আসে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই নীল জগতে তার আগমন ঘটে কীভাবে? কেমন ছিল সেই জগতটা। চলুন জেনে নিই।
নীল জগত এমন একটি জগত যেখানে স্বেচ্ছায় কখনও পা রাখেন না কেউই। বহু তরুণী ভাগ্যের দোষে নীল দুনিয়ায় ঢুকতে বাধ্য হন। তবে সানি লিওনের ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই ভিন্ন। কারো প্ররোচনা কিংবা কোনো পরিস্থিতির চাপে পরে নয়, নিজের ইচ্ছাতেই নীল দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। তাই এ জন্য কোনো আক্ষেপও নেই সানির।
কি অবাক হলেন তো? হ্যাঁ বেশীর ভাগ পর্ণ তারকা বাধ্য হয়েই এই জগতে পা রাখলেও সানি লিওন নিজ ইচ্ছা থেকেই পা রাখেন। তবে এই পর্ণ তারকা নীল দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে বলিউডে পা রাখা জনপ্রিয় তারকাতেই পরিণত হয়েছেন। ২০০৩ সালে তিনি পেন্টহাউস বর্ষসেরা পেটস এবং ভিভিড এন্টারটেনমেন্টের একজন চুক্তিতারকা ছিলেন। তিনি ম্যাক্সিম বিশ্বেসেরা  
১০ পর্ণোতারকার একজন হিসেবে নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। তিনি স্বাধীন মূলধারার চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তীতে বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটান পূজা ভাটের জিসম ২ (২০১২) যৌনাবেদনময়ী থ্রিলার চলচ্চিত্রে এবং বর্তমানে কাজ করেন হিন্দি চলচ্চিত্রে।
প্রাথমিক জীবন :
লিওন সার্নিয়া, অন্টারিও শহরে শিখ পাঞ্জাবি বাবা-মার ঘরে জন্ম নেন। তাঁর বাবা তিব্বতে জন্মগ্রহণ করেন এবং দিল্লিতে বেড়ে ওঠেন। আর তাঁর মা (২০০৮ সালে মারা যান) ছিলেন সিরমাউর, হিমাচল প্রদেশের মেয়ে। তরুণী থাকাকালীন সময়ে তিনি খুব খেলাধুলা-প্রেমী ছিলেন এবং ছেলেদের সাথে রাস্তায় হকিও খেলতেন।
যেহেতু তাঁর পরিবার শিখ ছিলো, এ কারণে পাবলিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনিরাপদ বোধ করতো তাঁর পরিবার। ১৬ বছর বয়সে অন্য বিদ্যালয়ের একটি বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের সাথে তিনি কুমারীত্ব হারান এবং ১৮ বছর বয়সে তাঁর উভকামিতা আবিষ্কৃত হয়। ১৩ বছর বয়সে তাঁর পরিবার ফোর্ট গ্রাটিয়ট, মিশিগান চলে আসেন। পরবর্তীতে এক বছর পর লেক ফরেস্ট ক্যালিফর্নিয়ায় স্থানান্তরিত হন ।
কর্মজীবন :
পর্নো শিল্পে কাজ করার পূর্বে, তিনি প্রথমে একটি জার্মান বেকারিতে কাজ করতেন। এরপর জিফি লুবে এবং পরবর্তীতে একটি ট্যাক্স এবং রিটায়ারমেন্ট ফার্মে কাজ করেন। ২০০২ সালে এডাল্ট এন্টারটেনমেন্ট এক্সপোতে তাঁর প্রথমদিকের প্রচারমূলক উপস্থিতি।
অরেঞ্জ কাউন্টিতে পিডিঅ্যাট্রিক নার্স হিসেবে অধ্যয়নকালে জন স্টিভেনসের সাথে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন এক বহিরাগত নৃত্যশিল্পী সহপাঠী। স্টিভেনস যিনি একজন এজেন্ট ছিলেন, পরবর্তীতে পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের আলোকচিত্রী জে অ্যালেনের সাথে লিয়নের পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক কর্মজীবনের জন্য একটি নাম ঠিক করতে, তিনি আসল নাম হিসেবে সানি নামটি উল্লেখ করেন এবং লিয়ন নামটি ঠিক করেন পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের সাবেক মালিকবব গুচ্চিওনে। পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের জন্য পেন্টহাউস পেট অব দ্য মান্থ হিসেবে মার্চ ২০০১ সংখ্যার জন্যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। পরবর্তীতে হলিডে ফিচারে হাস্টলার হানি হিসেবে হাস্টলার ম্যাগাজিনের ২০০১ সংস্করণে অনেকগুলো ম্যাগাজিনের কাভার গার্ল হবার সুযোগ পান। এর মধ্যে রয়েছে, চেরি, মায়েস্টিকু ম্যাগাজিন, হাই সোসাইটি, শয়ান্ক, এভিএন অনলাইন, লেগ ওয়ার্ল্ড, ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল এবং লোরিডার। এরপর তাঁর অনলাইন ক্রেডিটে মডএফএক্স মডেলে হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন সুসে রান্ডাল, কেন মার্কাস এবং ম্যাক এ্যন্ড বাম্বেল। তিনি সচিত্র ক্রেডিটে আদ্রিয়ানা সেজ, জেনা জেমসন, জেলেনা জেনসেন এবং আরিয়া জিওভান্নি ছাড়াও বিভিন্ন তারকাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পান।
২০০৩ সাল সানির ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট শুরু হয়। তিনি নির্বাচিত হন ‘পেন্টহাউস পেট’। এ বছরই পর্ণো ছবির অন্যতম সেরা  
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভিড ইন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তবে চুক্তির শর্ত অনুসারে কেবল লেসবিয়ান চরিত্রেই অভিনয় করতে থাকেন তিনি। সানি অভিনীত প্রথম ছবিটি বের হয় ‘সানি’ নামেই ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারেই বের হয় পরের ছবিটিও। নাম ‘ভার্চুয়াল ভিভিড গার্ল সানি লিওন’। এভাবে কোনো অভিনেত্রীর নামে ছবি প্রকাশের ঘটনা ভিভিডের ইতিহাসে এটাই প্রথম। এখানে তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেন মিকালা মেনডেজ এবং ডেইজি ম্যারি। এই ছবিটি তাকে এনে দেয় ‘এভিএন’ সম্মাননা।
ব্রাজিলে রিলিজ হয় ‘সানি ইন ব্রাজিল’এবং ‘দ্য সানি এক্সপেরিমেন্ট’। ছবিগুলো ২০০৭ সালে বাজারে রিলিজ করে ভিভিড।
২০০৭ সালের মার্চ মাসে আবারও সানির সঙ্গে চুক্তি করে ভিভিড। চুক্তির আওতায় ছয়টি ছবিতে অভিনয় করেন সানি লিওন। আর এবারই প্রথম কোনো পুরুষ অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে সম্মতি জানান তিনি। সানির বাগদত্তা ম্যাট এরিকসন এই ছবিতে তার  
কো-আর্টিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পুরুষের সঙ্গে প্রথম যে ছবিটিতে তিনি অভিনয় করেন সানি সেটির নাম ‘সানি লাভস ম্যাট’।  ছবিটি তাকে ২০০৯ সালের সেরা নারী অভিনেত্রীর পুরষ্কার এনে দেয়। একসঙ্গে কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের পর সানি উপলব্ধি করেন ম্যাটের সঙ্গে টানা অভিনয় বাজারদর কমিয়ে দিচ্ছে। এবার তিনি অন্য অভিনেতাদের সঙ্গেও অভিনয় করতে শুরু করেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন টমি গান, চার্লস ডেরা জেমস ডিন প্রমুখ।
ব্যক্তিগত জীবন:
জুন ২০০৬ সালে, লিয়ন একজন আমেরিকান নাগরিক হয়ে ওঠেন। কিন্তু কানাডায় দ্বৈত নাগরিক হিসেবে থাকার পরিকল্পনা করেন। এপ্রিল ১৪, ২০১২ সালে, লিওন দ্য নিউ ইন্ডয়িান এক্সপ্রেস সাক্ষাত্কারে নিজেকে ভারতের অধিবাসী হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে তিনি ভারতের বৈদেশিক নাগরিক ছিলেন এবং তাঁর বাবা ভারতে বসবাস করতেন, আর তিনি বিদেশী নাগরিকত্ব পাওয়ারও যোগ্য ছিলেন।
সানি লিওনের জীবনী সানি লিওনের জীবনী Reviewed by Jahidul Islam on September 02, 2018 Rating: 5

Post Comments

Powered by Blogger.